সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ জ্বিলক্বদ ১৪৪৫

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে পানিশূন্যতা দূর করুন

প্রকাশনার সময়: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ অপরাহ্ন

পরিবেশের তাপ বৃদ্ধি পেলে আমাদের দেহ ঘাম নিঃসরণের মাধ্যমে শরীরকে শীতল করে। হিট স্ট্রোকে ঘাম নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়। এ সময় চামড়া পুড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এর পরিণতি হতে পারে মারাত্মক। 

লক্ষণ
* শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি 
*  মাথা ব্যথা 
*  ক্ষুধামান্দ্য 
*  শারীরিক দুর্বলতা 
*  মাংসপেশিতে ব্যথা 
*  পেশিতে খিল লেগে যাওয়া 
*  মানসিক বিপর্যস্ততা 
*  এলোমেলো আচরণ 
*  কথাবার্তায় আড়ষ্টতা 
*  খিঁচুনি 
*  মূর্ছা যাওয়া

আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে যারা
*  বয়স্ক ব্যক্তি 
*  শিশু 
*  যাঁরা পেশাগত কারণে দীর্ঘ সময় রোদের মধ্যে অবস্থান করেন 
*  ক্রীড়াবিদ 
*  সামরিক বাহিনীর সদস্য 
*  ক্ষেতে-খামারে কর্মরত শ্রমিক 
*  স্থূলকায় ব্যক্তি 
*  যাঁরা নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খান (শরীরে পানি কমানোর ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের কিছু ওষুধ, মানসিক রোগে ব্যবহৃত কিছু ওষুধ) 
*  অ্যালকোহলে আসক্ত  
*  হার্টের রোগী 
*  ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি

চিকিৎসা
হিট স্ট্রোক একটা মেডিক্যাল ইমারজেন্সি। তাপদাহের কারণে কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

*  প্রথমেই রোগীর জামাকাপড় খুলে ফেলুন।
*  বরফ ঠাণ্ডা পানি শরীরের ওপর ছিটিয়ে দিন। 
*  ফ্যান ছেড়ে বাতাসের ব্যবস্থা করুন। 
*  বগলে ও কুঁচকির নিচে বরফের প্যাকেট রাখুন। 
*  পারলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে নিয়ে যান।
* সম্ভব হলে বরফ ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করান। 
*  রোগী পানি পান করতে সক্ষম হলে তাঁকে ঠাণ্ডা পানি পান করতে দিন। 
*  রোগীর তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি না আসা পর্যন্ত এসব প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখুন। 
*  তাপমাত্রা না কমলে কিংবা জটিলতা দেখা দিলে হাসপাতালে নিয়ে যান।

প্রতিরোধে করণীয়

*  বাইরে বেরোলে সঙ্গে পানির বোতল রাখুন।
* তীব্র গরমে থাকলে প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পর পানি পান করুন। সম্ভব হলে ছাতা ব্যবহার করুন।
*  অতিরিক্ত ঘাম হলে লবণ দিয়ে লেবুর শরবত খান। 
*  সুতি কাপড়ের পাতলা ঢিলেঢালা জামা পরুন, যাতে জামাকাপড়ের ভেতর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। গরম আবহাওয়ায় হালকা রঙের জামা স্বাস্থ্যবান্ধব। 
*  জুতা-মোজা এগুলো অতিরিক্ত গরমের সময় না পরাই ভালো। 
*  তপ্ত গরমে কাজের ভেতর থাকলে মাঝেমধ্যে ছায়াঘন স্থানে বিশ্রাম নিন। পারলে ফ্যানের নিচে অবস্থান করুন। 
*  কোনো কারণ না থাকলে অযথা উষ্ণ তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় বাইরে থাকবেন না। 
*  অ্যালকোহল, কফি, অতিরিক্ত চা পান করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা এগুলো মৃদু মাত্রার পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। 
*  যেসব খাবার পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে, সেসব খাবার পরিহার করা উচিত। অতিরিক্ত আমিষ, চিনি এবং লবণাক্ত স্নাক্সজাতীয় খাবার পানিশূন্যতাকে আমন্ত্রণ জানায়।

মন্তব্য করুন